রাজনীতি |
- হ্যারোল্ড ল্যাজওয়েলের -মতে, রাজনীতি হল "যে যা, যখন, যেভাবে পায় সেটাই"।
- ডেভিড ইস্টনের মতে- "এটি হল কোন সমাজের জন্য মূল্যবান বিষয়গুলোর কর্তৃত্বপূর্ণ সুষম বণ্টন"।
- ভ্লাদিমির লেনিনের কাছে, "রাজনীতি হল অর্থনীতির সবচেয়ে ঘণীভূত বহিঃপ্রকাশ"।
- বার্নার্ড ক্রিক - দাবি করেন যে, "রাজনীতি হল নীতিমালার একটি স্বতন্ত্র রূপ, যার দ্বারা মানুষ নিজেদের পার্থক্য মিটিয়ে ফেলার জন্য, বৈচিত্রময় আগ্রহ ও মূল্যবোধ উপভোগ করার জন্য এবং সাধারণ প্রয়োজনের বিষয় পরিচালনায় সরকারি নীতি তৈরির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিলেমিশে কাজ করে"।
- আড্রিয়ান লেফ্টউইচ - সংজ্ঞা দেন যে, "রাজনীতি সমাজে ও সমাজসমূহের মধ্যে সমবায়, মতবিনিময় ও দ্বন্দ্বের সকল কাজের জন্ম দেয়, যার দ্বারা মানুষ তাদের জৈবিক ও সামাজিক জীবনের উৎপাদন ও প্রজননের নিমিত্তে মানবীয়, প্রাকৃতিক ও অন্যান্য সম্পদ ব্যবহার, উৎপাদন ও বণ্টনের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে"।
- ইবনে সিদার মতে - বিষয়াবলির ব্যবস্থাপনা করাই হল সিয়াসাত বা নীতি বা রাজনীতি।
- সাহিব ইবনে আব্বাদও - একই মত পোষণ করে বলেন, সিয়াসাত বা রাজনীতি হল রাজনীতিবিদ বা শাসকের কাজ, প্রশাসক তার প্রজাদের শাসন করে, আর তার নিম্নস্তরের শাসকেরা তাদের নিম্নস্তরের প্রজাদের শাসন করে, আর এটাই তাদের রাজনৈতিক বা শাসনের নীতি।
- ফায়রুজ আব্বাদী - বলেন, রাজনীতিবিদ বা শাসকরাই রাজনীতি বা শাসনতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করেন, তারাই এটি প্রতিষ্ঠা করেন, আবার তারাই এটি ধ্বংস করেন।
ইতিহাস-
রাজনীতির ইতিহাসে এর উৎপত্তি, বিকাশ, এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতি বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।
রাজনীতির উদ্ভব মানবসভ্যতার বিকাশ এর সাথে সাথে রাজার রাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার মধ্যে দিয়ে ঘটেছে ও পরিপূর্ণতা লাভ করেছে, রাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা এবং রাজনৈতিক কলা কৌশল ও পরবর্তীকালের আধুনিক রাজনীতির শ্রেণী বিভাজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানমূলক চিন্তাধারার উত্থান ঘটিয়েছে। মেকিয়াভেলী রচিত "The Prince" গ্রন্থটি রাজতন্ত্রের চরিত্র ও স্থায়ীত্ব নিয়ে বলিষ্ঠ বিশ্লেষণ করেছে । রাজনীতি হলো এককথায় এক বিশেষ রাজত্ব কেন্দ্রিক নীতি বা রাজার নীতি এটি একটা বিশেষ চেতনা বা আদর্শ।
রাষ্ট্র গঠন-
প্রারম্ভিক রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে একাধিক বিভিন্ন তত্ত্ব এবং অনুমান রয়েছে, যা শুধু কিছু জায়গায় রাষ্ট্র কেন বিকশিত হয়েছিল, অন্যান্য যায়গায় নয়, তা ব্যাখ্যা করার জন্য সরলীকরণের চেষ্টা করে। অন্যান্য পণ্ডিতরা বিশ্বাস করেন যে সরলীকরণগুলি কোন কাজে আসে না এবং প্রাথমিক রাষ্ট্র গঠনের প্রতিটি উদাহরণকেই আলাদাভাবে বিচার করা করা উচিত।
আদি রাষ্ট্র-
প্রাচীন ইতিহাসে সভ্যতার আজকের মতো নির্দিষ্ট সীমানা ছিল না এবং তাদের সীমানাকে রাষ্ট্রীয় সীমান্ত হিসাবে আরও সঠিকভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। প্রারম্ভিক রাজবংশীয় সুমের এবং আদি রাজবংশীয় মিশর ছিল তাদের সীমান্ত নির্ধারণ করার জন্য প্রথম সভ্যতা। তদুপরি, বিংশ শতাব্দী অবধি, বহু লোক রাজ্যহীন সমাজে বাস করত। এগুলি তুলনামূলক সমতাবাদী গোত্র এবং উপজাতি থেকে শুরু করে জটিল এবং উচ্চ স্তরীভূত স্তরের ন্যায় দলীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
Post a Comment